আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই দিনটি আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কালো দিনগুলোর একটি। একাত্তরের সেই ভয়াল সময়ে জাতির মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, যেন এ জাতি চিরকাল মেধাহীন, দিকভ্রান্ত, এবং পরাধীন থাকে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী আর তাদের দোসররা বাঙালির ভবিষ্যৎকে মুছে ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছিল।
কিন্তু ৫৩ বছর পর, আমরা এই হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কতটুকু জানতে পেরেছি? শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা আজও অজানা। কেউ বলে দুইশ, কেউ বলে তিনশ, আবার কেউ বলে হাজার পেরিয়েছে। কিন্তু এই অস্পষ্টতার চেয়েও বড় সত্য হলো—আমাদের নৈতিক অবস্থানও অস্পষ্ট।
আমরা বুদ্ধিজীবীদের মৃত্যু নিয়ে শোকের ছলনায় নিজেরা যেন বাণিজ্য করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। জাতির মেধাবীদের রক্তের দাগ মুছে ফেলার বদলে, আমরা তাদের স্মৃতি দিয়ে রাজনীতি, আবেগ, এবং ক্ষমতার খেলা খেলছি।
পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের সহযোগীরা বুদ্ধিজীবীদের নির্মূল করার যে পরিকল্পনা করেছিল, তা ছিল বাঙালির শিকড় থেকে মেধা এবং নেতৃত্ব উপড়ে ফেলার একটি সুনিপুণ কৌশল। বুদ্ধিজীবীরা জাতির চেতনা, নৈতিকতা এবং ভবিষ্যতের প্রতীক। তাদের হত্যা করা মানে ছিল বাঙালির আত্মপরিচয়কে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করা।
কিন্তু দুঃখজনক হলো, এই পৈশাচিক ঘটনার বিচার আজও সম্পূর্ণ হয়নি। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগ একপক্ষকে দোষারোপ করে, আর জামায়াত নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য পাল্টা বক্তব্য দেয়। সত্যিকারের বিচার বা প্রমাণ খুঁজে বের করার চেষ্টা হয়নি। বরং এসব ঘটনা রাজনৈতিক এজেন্ডার কূটকৌশলে আটকে গেছে।
একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমরা যতটা আবেগপ্রবণ, ততটাই দায়িত্বজ্ঞানহীন। রাজনৈতিক দলগুলো বুদ্ধিজীবীদের রক্তকে নিজেদের বৈধতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু এই ঘটনার গভীরে ঢুকে সত্য উন্মোচনের চেষ্টায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
শহীদদের স্মৃতিচারণে শোক আর আবেগের সমাবেশ হয়, কিন্তু সত্যিকারের ইতিহাস খোঁজার কাজটি উপেক্ষিত। জাতি আজ বিভ্রান্ত—আমাদের কি এসব স্মৃতির প্রয়োজন শুধুই আবেগের জন্য, নাকি আমরা এ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে চাই?
কিন্তু স্বাধীনতার পরও এই হত্যাকাণ্ড থেমে থাকেনি; বরং বুদ্ধিজীবীদের ওপর নতুনভাবে আঘাত আসে। ১৯৭২ সালে জহির রায়হানের মৃত্যু সেই ধারাবাহিকতারই একটি করুণ উদাহরণ। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান এবং যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে রাজাকার পুনর্বাসন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তাঁকে ক্ষমতাসীনদের জন্য অস্বস্তিকর করে তুলেছিল।
জহির রায়হানের মৃত্যু বুদ্ধিজীবীদের ওপর চলমান আক্রমণের একটি দুঃখজনক প্রতীক। স্বাধীনতার পর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অনেক সাহসী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়। রক্ষীবাহিনীর কার্যক্রম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রেক্ষাপটে জহির রায়হানের মতো একজন সাহসী শিল্পী ও লেখককে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ইতিহাসের গভীরে শেকড় গেঁড়ে থাকা অন্যায় ও নির্যাতনের প্রতিফলন। এটি একটি বৃহত্তর কাঠামোগত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়, যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষই নয়, বুদ্ধিজীবীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। জহির রায়হানের মৃত্যু তাই কেবল একটি জীবনহানি নয়; এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দমনের একটি প্রচেষ্টা।
জহির রায়হানের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে আমাদের ফিরে তাকাতে হয় ১৯৭২ সালের সেই উত্তাল সময়ে, যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার উষালগ্নে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ছায়া সর্বত্র বিরাজ করছিল। জহির রায়হান—একজন প্রখ্যাত লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের নির্ভীক কণ্ঠস্বর—যিনি পাকিস্তানি শাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁর মৃত্যু শুধুমাত্র একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি এক গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্ভাব্য প্রতিফলন।
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারির সেই ঘটনাটি আজও অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর। বলা হয়, বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে তিনি ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হন। তবে ঘটনাটির গভীরে গেলে দেখা যায়, এর পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবং রক্ষীবাহিনীর কার্যকলাপের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। স্বাধীনতার পর গঠিত রক্ষীবাহিনী, যা প্রথমদিকে জননিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল, ধীরে ধীরে একটি বিতর্কিত শক্তি হয়ে ওঠে। অভিযোগ ওঠে, এটি শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহৃত হয়নি, বরং অনেক সাহসী কণ্ঠস্বরকেও স্তব্ধ করতে ভূমিকা রেখেছিল।
জহির রায়হানের মৃত্যু নিয়ে তিনটি সম্ভাব্য কারণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করছি:
প্রথমত, তিনি ছিলেন একজন নির্ভীক সত্যপ্রত্যয়ী। তাঁর চলচ্চিত্র এবং লেখনীতে তিনি যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের সত্য চিত্র তুলে ধরেছিলেন, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশেও তিনি একইভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার আর রাজাকারদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখিয়েছিলেন। এর ফলে তিনি শাসকগোষ্ঠীর জন্য একটি অস্বস্তিকর কণ্ঠ হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয়ত, শহীদুল্লাহ কায়সারের নিখোঁজের পেছনে থাকা দালাল ও রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে জহির রায়হানের গবেষণা এবং প্রমাণ সংগ্রহ ক্ষমতাবানদের জন্য ছিল ভয়ঙ্কর হুমকি। একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে তিনি সেসব ঘটনা উন্মোচনের পরিকল্পনা করেছিলেন। এটি রাজনৈতিক ক্ষমতাধরদের স্বার্থবিরোধী ছিল। তৃতীয়ত, রক্ষীবাহিনীর নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ নিয়ে জনমনে যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল, তা আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল যদি জহির রায়হানের মতো সাহসী কণ্ঠ তা প্রকাশ্যে আনতেন।
তাঁর মৃত্যুর পর তদন্ত প্রক্রিয়া ছিল এতটাই রহস্যময় এবং অস্বচ্ছ যে অনেক প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে। কেন এ ঘটনা নিয়ে মুজিব সরকার পর্যাপ্ত তদন্ত করেনি? কেন শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে এমন ঝুঁকিপূর্ণ পথে পা রাখতে হলো তাঁকে? রক্ষীবাহিনীর সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কেন সুষ্ঠু বিচার হয়নি? এই প্রশ্নগুলো শুধু জহির রায়হানের মৃত্যু নয়, বরং স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকেই গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ঐতিহাসিক বিশ্লেষকরা দাবি করেন, জহির রায়হানের মতো নির্ভীক শিল্পীদের কণ্ঠরোধ করতে একটি বড় ষড়যন্ত্রই তাঁর মৃত্যুর পেছনে ছিল। রক্ষীবাহিনীর কার্যক্রম এবং ক্ষমতার অপব্যবহার এই তত্ত্বকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। তবে প্রমাণের অভাব এবং সরকারি স্বচ্ছতার ঘাটতি ঘটনাটিকে একটি চিরকালীন রহস্য হিসেবে রেখে দিয়েছে।
জহির রায়হানের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য উন্মোচনে ইতিহাসের বেশ কিছু উদাহরণ আমাদের সাহায্য করতে পারে, যেখানে ক্ষমতাসীন সরকার বা তাদের সমর্থিত বাহিনী রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছিল। ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনাগুলো সাধারণত সেই সময়ের প্রেক্ষাপট এবং ক্ষমতার রাজনীতির গভীর জটিলতাকে উন্মোচন করে।
বিশ্ব ইতিহাসে দেখলে, ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশেই সামরিক শাসনের সময় সাহসী শিল্পী, সাংবাদিক, এবং লেখকদের নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। চিলির সালভাদর আলেন্দে সরকারের পতনের পর পিনোচেটের শাসনামলে কবি পাবলো নেরুদার আকস্মিক মৃত্যুকে অনেকেই একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখেন। নেরুদা ছিলেন সাম্যবাদী চিন্তাধারার একজন প্রবল সমর্থক এবং শাসকগোষ্ঠীর কড়া সমালোচক। তাঁর মৃত্যু নিয়েও সরকারি তদন্ত ছিল রহস্যময় এবং স্বচ্ছতার অভাব ছিল প্রকট। একইভাবে, ভারতের ইমার্জেন্সি কালীন সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারও অনেক সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কারাগারে বন্দি করে রাখে বা তাঁদের কণ্ঠ রোধ করে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফিরে এলে, জহির রায়হানের মৃত্যু স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতির গভীর টানাপোড়েনকে উন্মোচন করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী যেমন বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে প্রতিরোধের কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশেও রাজাকার এবং তাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা অনেক বুদ্ধিজীবীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শহীদুল্লাহ কায়সারের নিখোঁজের পেছনে রাজাকারদের হাত থাকার সম্ভাব্য প্রমাণ জহির রায়হান সংগ্রহ করেছিলেন, যা অনেক ক্ষমতাবানদের স্বার্থে আঘাত করেছিল। এ ধরনের সত্য উন্মোচন শাসকগোষ্ঠীর জন্য এতটাই অস্বস্তিকর ছিল যে, তাঁকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার একটি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে রক্ষীবাহিনীর ভূমিকা এখানে বিশেষভাবে আলোচ্য। রক্ষীবাহিনী, যেটি স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সরকার গঠন করেছিল, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের পাশাপাশি বহুবার ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়ে। একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানের ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের সময়, যখন ফিল্ম নির্মাতা এবং লেখক সাদাত হাসান মান্টোর মতো কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে রাষ্ট্রীয় দমননীতি প্রয়োগ করা হয়। মান্টো তাঁর সাহসী সাহিত্য এবং প্রথাবিরোধী অবস্থানের জন্য সরকারের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন।
জহির রায়হানের মৃত্যুতে আমরা দেখতে পাই, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রভাব কেবল রাজনীতিবিদদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি সাহসী শিল্পী, লেখক এবং চিন্তাবিদদের ওপরও প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর মৃত্যু স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্পষ্টতাকে আরও গভীর করে তোলে। ইতিহাসের আলোকে এ ঘটনাকে আমরা শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখলে ভুল করব। বরং এটি একটি বৃহৎ কাঠামোগত সমস্যার অংশ—যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, এবং গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব একত্রে কাজ করেছে।
ইতিহাসের প্রতিটি উদাহরণ এবং বিশ্লেষণ আমাদের এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে যে, জহির রায়হানের মতো সাহসী মানুষকে হত্যা করা হয় শুধু তাঁর চিন্তার জন্য, যা ছিল শাসকগোষ্ঠীর জন্য অস্বস্তিকর এবং বিপজ্জনক। তাঁর অপমৃত্যু আজও আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সত্যের জন্য লড়াই কখনোই সহজ নয়, বিশেষ করে সেই সময়ে, যখন সত্য বলার জন্যই জীবন দিতে হয়। এই নির্মম ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, বরং স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজের অস্থির চিত্রকে প্রকাশ করে।
জহির রায়হানের অপমৃত্যুর পেছনে থাকা অন্ধকার রাজনৈতিক সত্য আমাদের স্বাধীনতার মানে নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। আমরা কি সত্যিই স্বাধীন হয়েছি, নাকি একটি নতুন শাসনের অধীনে একটি নতুন ধরনের পরাধীনতার শিকার হয়েছি? তাঁর মৃত্যু আমাদের সামনে সেই কঠিন প্রশ্নগুলো রেখে যায়, যেগুলো উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য আমরা আজও লড়াই করছি।
সাজিদ সামী চৌধুরী –
নির্বাহী সম্পাদক, জনপদ